দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আপনি কি চিন্তিত? আপনি কি লাজুক, রোগার কারণে আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন? ওজন বাড়ানোর জন্য ঔষধ
নয়, দরকার কার্যকর ঘরোয়া উপায়। এই ব্লগে থাকছে নারী পুরুষ উভয়ের জন্য ঘরোয়া
কৌশল, ডায়েট টিপস, ওজন বাড়ানোর শেক এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা যা একমাসে বদলে দেবে
আপনার চেহারা।
খাবার ব্যায়াম ও ঘুমের সঠিক ভারসাম্য থাকলে আপনি পেতে পারেন কাঙ্ক্ষিত শরীর।
একাধিক বাস্তব অভিজ্ঞতা, নিউট্রেশন টিপস, ফুড চার্ট, মনোবল বৃদ্ধির কৌশল যুক্ত এই
গাইড আপনাকে চলার পথ দেখাবে। শুরু করুন আজই, স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়ানোর
যাত্রা। নিজের রুটিন ছোট পরিবর্তন এনে আপনি পেতে পারেন দৃশ্যমান ফলাফল।
সূচিপত্রঃ দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় - নারী পুরুষ উভয়ের জন্য
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। ওজন
বাড়ানোর জন্য আপনার শরীরের প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি, সুষম খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম এবং
কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। তবে, এক্ষেত্রে ঔষধ বা অস্বাস্থ্যকর উপায় এগিয়ে চলা
উচিত। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সেরা ঘরোয়া কৌশল হল এমন কিছু
সহজ এবং কার্যকর ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করা যায় আপনার শরীরকে স্বাস্থ্যকর ভাবে
পুষ্টি প্রদান করবে।
সঠিক খাবার আপনাকে পেটে সাহায্য করবে কাঙ্খিত শরীর। খাদ্যভাসের পরিবর্তন,
ঘরোয়া ড্রিংক্ স্বাস্থ্যকর স্যাকস এবং সঠিক সময়ের খাবারের রুটিন আপনার শরীরের
মেটাবলিজম বাড়িয়ে দিবে। আপনি চাইলে এক মাসের মধ্যে চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন
দেখতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং কোনরকম ঝুঁকিপূর্ণ উপায়
এগিয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ। শুরু করতে দেরি করবেন না আজ থেকেই এই ঘরোয়া কৌশল
অনুসরণ করে ওজন বাড়ানোর যাত্রা শুরু করুন।
আপনার ওজন বৃদ্ধির স্বপ্ন এখন আর দূরে নয়- সঠিক পরিকল্পনা আর কিছু প্রাকৃতিক
ঘরোয়া কৌশলই হতে পারে আপনার চেহারার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার চাবিকাঠি।নারী-পুরুষ
নির্বিশেষে ,যদি আপনি স্বাস্থ্যকর ,ফিট এবং পরিপূর্ণ শারীরিক গঠন চান,তবে আজই এই
কার্যকর কৌশল গুলোর অনুশীলন করুন।নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার,ঘরোয়া প্রোটিন শেক ,হালকা
ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম- এই ৪টি বিষয় অনুসরণ করলে শুধু ওজন বাড়াতে পারবেন না
বরং আত্মবিশ্বাস বাড়বে বহুগুণ।
ওজন না বাড়ার মূল কারণগুলো জেনে নিন ঃ
অনেক সময় আমরা সঠিক পরিমাণ খাবার গ্রহণ করে পর্যাপ্ত ক্যালরি পাচ্ছিনা। এর
কারণে শরীরে যথেষ্ট শক্তি ও পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে না, যা ওজন বৃদ্ধির জন্য
প্রয়োজন। যদি আপনি বেশি পরিমাণ ক্যালরি খরচ করেন, তবে ক্যালরি ঘাটতে হবে এবং
ওজন বাড়ানোর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।
হজমের সমস্যাঃ আপনার শরীর যদি ঠিকভাবে খাবার হজম না করতে পারে, তবে তা
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণ করতে পারবেনা। এ কারণে, আপনি যতই সঠিক
খাবার খান না কেন তাতে ফল পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।
ঘুমের অভাবঃ পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবেও ওজন বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
ঘুম শরীরের রিজেনারেশন প্রক্রিয়া পরিচালনা করে এবং পুষ্টির শোষণকে সহায়তা
করে। ঘুমের অভাবে শরীরের মেটাবলিজমে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে ওজন
বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
মানসিক চাপঃ মানসিক চাপ শরীরের হরমোনাল ব্যালেন্সের উপর প্রভাব ফেলতে
পারে, যা খাবারের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেয়। এর ফলে, আপনি আপনার খাবারের পরিমাণ
বা গুণমান সঠিকভাবে বজায় রাখতে পারেন না, যার ফলে ওজন বাড়ানোর প্রক্রিয়া
স্থবির হয়ে পড়ে।
জিনগত প্রভাবঃ কিছু ক্ষেত্রে শরীরের মেটাবলিজম হাড় এবং ওজন বৃদ্ধির
ক্ষমতা জিনগতভাবে নির্ধারিত হয়। যদিও এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, তবে সঠিক
খাবার এবং জীবনযাত্রা অনুসরণ করলে জিনগত বাধা গুলোর প্রভাব কিছুটা কমানো যেতে
পারে।
ঘরোয়া খাবার যা ওজন বাড়ায়
নারী পুরুষ উভয়ের জন্য দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সেরা ঘরোয়া কৌশল অনুসরণ করতে চাইলে,
খাদ্য তালিকায় এমন কিছু ঘরোয়া খাবার রাখতে হবে যা পুষ্টিকর ও উচ্চ
ক্যালরিযুক্ত। উদাহরণস্বরূপ, কলা, ওটস, মধ্ পিনার্ট বাটার, খেজুর ও ডিম
প্রতিদিনের ডায়েটে যোগ করলে শরীর ধীরে ধীরে ওজন ধারণ কারণে সক্ষম হয়। এই
খাবারগুলো সহজলভ্য হজমে সহায়ক এবং শরীরের শক্তি ও বেশি গঠনে ভূমিকা রাখে যা
কার্যকর ভাবে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
নারীদের ক্ষেত্রে সকালের খাবারে এক গ্লাস দুধে কলা সামান্য মধু ও অর্শ মিশিয়ে
নেওয়া যেতে পারে। দুপুরে পাতে সেদ্ধ মিষ্টি আলু ডিম ও ঘি থাকলে তা ওজন বৃদ্ধির
জন্য উপকারী অন্যদিকে পুরুষদের জন্য সকালে খেজুর ও সেমাই দুধ, দুপুরে ভাতের সঙ্গে
ঘি, মাংস ও ডাল রাখলে চাহিদা অনুযায়ী ক্যালোরি পাওয়া যায়। রাতে খিচুড়ির সঙ্গে
ডিম ও রেডমি ওজন বৃদ্ধির উপায় হিসেবে কার্যকর। ঘরোয়া খাবারয় হতে পারে দ্রুত
ওজন বৃদ্ধির সহজ ও স্বাস্থ্যকর পথ।
এছাড়াও, ওজন বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শরীরের সঠিক হাইড্রেশন নিশ্চিত করতে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
এটি হজমে সহায়ক এবং শরীরের উন্নতি ঘটায় ফলে খাদ্য থেকে পাওয়া পোস্টটি ভালোভাবে
শোষিত হয়। বিশেষ করে, খাবারের সাথে বেশি তরল গ্রহণ করলে শরীর আরো কার্যকর ভাবে
ক্যালরি সংগ্রহ করতে পারে, জাদ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
সময় ও পরিবেশ অনুযায়ী খাওয়ার রুটিন
নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সেরা ঘরোয়া কৌশল অনুসরণ করতে চাইলে
প্রথমে বুঝে নিতে হবে খাওয়ার সময় ও পরিবেশ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সকালের শান্ত
পরিবেশে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে ৩০ মিনিটের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার খেলে শরীর দ্রুত
পুষ্টি গ্রহণে সক্ষম হয়। দিনের খাবারের সময় গুলো ঠিক করে নিতে পারলে হজম শক্তি
বাড়ে, যা ওজন বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে অনেক সহজ করে তোলে। পরিবেশ যদি শান্ত,
পরিষ্কার এবং চাপ মুক্ত হয় তবে মস্তিষ্ক খাবার গ্রহণ ইতিবাচক সাড়া দেই।
একটানা ফোন স্কুল করতে করতে খাওয়া, বা দাঁড়িয়ে তাড়াহুড়ো করে খাওয়ার অভ্যাস
ওজন বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। ঘরোয়া খাবার খাওয়ার সময় মনোযোগ দিয়ে
খেলে শরীর সঠিক ভাবে ক্যালরি শোষণ করতে পারে। একটি আরামদায়ক পরিবেশ ও আনন্দময়
পরিবেশে বসে খাবার অভ্যাস গড়ে তুললে খাওয়ার পরিমাণও বাড়ে। আপনি যদি প্রতিদিন
নির্দিষ্ট স্থানে শান্তভাবে বসে একই সময়ে খাবার রুটিন মেনে চলেন, তবে ওজন বাড়ার
হার অনেক দ্রুত হবে। তাই রুটিন এবং পরিবেশ দুটোই সফল ওজন বৃদ্ধির জন্য সমানভাবে
গুরুত্বপূর্ণ।
ঘরোয়া ড্রিঙ্ক যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সেরা ঘরোয়া কৌশল অনুসরণ করতে গেলে এমন কিছু স্বাস্থ্যকর
ঘরোয়া ড্রিংক বেছে নেওয়া উচিত যা শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। যেমন- কলা,
দুধ, বাদাম, খেজুর, মধু, ওটস দিয়ে তৈরি প্রোটিন শেক প্রতিদিন সকালে খালি পেটে
খেলেই শরীরের শক্তি আসবে এবং ধীরে ধীরে ওজন বাড়বে। এতে ক্যালোরি, প্রোটিন এবং
প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা শরীরের চাহিদা পূরণে সহায়তা করে। এছাড়াও ঘরোয়া কলা
চিনা বাদাম স্মুদি কিংবা নারকেলের দুধ ও কিসমিস মিশিয়ে তৈরি করা
অত্যন্ত উপকারী।
দুধ চিনির মিল্কশেক, পেঁপে ও দুধের স্মুদি কিংবা ঘরে তৈরি ওটমিল
বাটার ড্রিঙ্ক এমন কিছু বিকল্প, যা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন ওজন বৃদ্ধিতে
কার্যকর। এ ড্রিংকল ঘরে তৈরি হওয়ায় কৃত্রিম প্রিজারভেটিভ এর ক্ষতি থাকে না
এবং পেটেও সহজে হজম হয়। আপনি চাইলে ঘুমের আগে হালকা গরম দুধে খেজুর ও সামান্য ঘি
মিশিয়ে পান করতে পারেন, যা রাতে শরীরে পুষ্টি যোগায় এবং ওজন বাড়াতে সহায়তা
করে। গ্রহণ করলে আপনি স্বাস্থ্যকর ভাবে দ্রুত ওজন বাড়াতে পারবেন যার নারী পুরুষ
উভয়ের জন্য কার্যকর।
ঘরোয়া প্রোটিন শেক তৈরির প্রক্রিয়া
উপকরণঃ
পাকা কলা - ১ টি
দুধ- ১ কাপ
ওটস- ২ টেবিল চামচ
চিনাবাদাম বাটার- ১ টেবিল চামচ
খেজুর- ২ টি
মধু- ১ চা চামচ
সামান্য দারুচিনি গুড়া(ঐচ্ছিক)
প্রস্তুত প্রণালীঃ
সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন যতক্ষণ না মসৃণ হয়।
তারপর গ্লাসে ঢেলে সকালে খালি পেটে বা বিকেলে স্ন্যাকস হিসেবে পান করুন। চাইলে
এতে প্রোটিন পাউডার যোগ করা যেতে পারে। এটি প্রতিদিন খেলে শরীরে অতিরিক্ত
শক্তি আসবে এবং ধীরে ধীরে দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। নিয়মিত শেক
খাওয়া অভ্যাস করুন।
এছাড়াও, ঘরোয়া ড্রিংক তৈরি সময় আপনি আরো কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদান যোগ করতে
পারেন,যেমন-বাদাম, কাজু বা মাখন, যা শরীরের চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে এবং দেহের
শক্তি বৃদ্ধি করে। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ড্রিঙ্ক গুলি কৃত্রিম উপাদান
থেকে, যা শরীরের জন্য নিরাপদ এবং পুষ্টিকর। এই ধরনের প্রাকৃতিক ড্রিংক গুলি
শরীরকে দ্রুত পুষ্টি সরবরাহ করে, যা সহজেই হজম হয় এবং শরীরের শক্তি স্তর
বাড়ায়। এ ধরনের ড্রিংক গুলি খাদ্য তালিকার অংশ হিসেবে গ্রহণ করা
উচিত।
হালকা ব্যায়াম ও ঘুমের গুরুত্ব
ওজন বাড়ানোর জন্য শুধুমাত্র খাবার খাওয়া যথেষ্ট নয়, পাশাপাশি হালকা ব্যায়াম
এবং পর্যাপ্ত ঘুমও অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ। হালকা ব্যায়াম যেমন- কিছুটা
হাটা দৌড়ানো বা বাড়িতে সহজ স্ট্রেচিং করতে সাহায্য করে শরীরের মেটাবলিজম
প্রক্রিয়া বাড়াতে। এটি আপনার শরীরের পুষ্টি শোষণের ক্ষমতাও বাড়ায় ফলে আপনি
দ্রুত ওজন বাড়াতে সক্ষম হন। এছাড়া, ব্যায়ামের ফলে শরীরের ফ্যাট কমে এবং মাসল
মাস বাড়াতে সহায়ক। প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করা আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই
জরুরী।
ঘুমের সময়ও শরীরের পুনর্গঠন ঘটেএবং বেশি তৈরি হয় যা ওজন বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হলে শরীরের হরমোনাল ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে
পারে, যার ফলে ওজন বাড়াতে অসুবিধা হয়। সাধারণত, প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের
প্রয়োজন, বিশেষ করে যাদের শারীরিক পরিশ্রম বেশি হয়। ঘুমে মাধ্যমে শরীর অতিরিক্ত
ক্যালরি সংগ্রহ করে এবং এনার্জি ব্যালেন্স ঠিক রাখে। নিয়মিত ব্যায়াম এবং সঠিক
পরিমাণ ঘুম নিশ্চিত করে ওজন বাড়ানোর প্রক্রিয়া আরো দ্রুত হতে পারে।
এছাড়া, যাদের শারীরিক কাঠামো দুর্বল, তাদের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত
ঘুম নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা ও গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক চাপ কমাতে এবং
ভালো ঘুমের জন্য যোগব্যায়াম বা মেডিটেশনও উপকারী হতে পারে। যখন শরীর ও মন শান্ত
থাকে, তখন শারীরিক কার্যকলাপ আরো কার্যকরভাবে হয় এবং মেটাবলিজমের গতি বৃদ্ধি
পায়। এর ফলে, খাবার থেকে পাওয়া পোস্টটি আরো ভালোভাবে শোষিত হয়ে দ্রুত ওজন
বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় সহায়ক হয়।
সাত দিনের ঘরোয়া ওজন বাড়ানোর প্ল্যান
ওজন বাড়ানোর জন্য একটি সঠিক ও স্বাস্থ্যকর রুটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের সাত
দিনের ঘরোয়া ওজন বাড়ানোর চারটি এমন ভাবে তৈরি হয়েছে, যাতে প্রতিদিন সঠিক
পুষ্টি, হালকা ব্যায়াম ও ঘুমের ভারসাম্য বজায় থাকে। এই পরিকল্পনা অনুসরণ করলে
শরীর ধীরে ধীরে ওজন গ্রহণের সক্ষম হবে। প্রতিটি দিনের জন্য আলাদা আলাদা খাবার ও
ব্যায়ামের রুটিন থাকায় এটি সহজে মানিয়ে নেওয়া যায়।
নিচে সাত দিনের ঘরোয়া ওজন বাড়ানোর একটি সম্পূর্ণ চার্ট (খাবার ও ব্যায়ামসহ)
উপস্থাপন করা হলোঃ
দিন
সকালের নাস্তা
দুপুরের খাবার
বিকেলের খাবার
রাতের খাবার
ব্যায়াম
দিন ১
কলা, ডিম সেদ্ধ, দুধ
ভাত, মুরগির ঝোল, ডাল
বাদাম, কলা শেক
রুটি, ডিম ভাজা
২০ মিনিট হাটা
দিন ২
ওটস, চিনা বাদাম, কলা
ভাত, মাছ, সবজি
ডিম শেক, বিস্কুট
খিচুড়ি, ডিম
১০ মিনিট স্কোয়াট
দিন ৩
পনির স্যান্ডউইচ
ভাত, গরুর মাংস
কলা ও দুধ শেক
রুটি, সবজি, ভাজি
১৫ মিনিট স্ট্রেচিং
দিন ৪
ডিম পাউরুটি
ভাত, মুরগির রোস্ট
বাদাম ও মধু শেক
আলু পনির পরোটা
২০ মিনিট ইয়োগা
দিন ৫
সেমাই দুধ
ভাত, ডিমের তরকারি, ডাল
ফলের সালাদ ও দুধ
পোলাও, মুরগি
১৫ মিনিট হালকা জগিং
দিন ৬
পিনাট বাটার টোস্ট
ভাত, সবজি, গরুর মাংস
বাদাম শেক, বিস্কুট
ভুনা খিচুড়ি, ডিম
হ্যান্ড এক্সারসাইজ
দিন ৭
পনির অমলেট, ওটস
ভাত, মাছ, মুসুর ডাল
দুধ, মধু ও কলা শেক
রুটি, মুরগির মাংস
১৫ মিনিট হাঁটা ও স্ট্রেচ
এই চার্টটি নির্দিষ্ট পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার ও হাল্কা ব্যায়াম নিশ্চিত করে। ওজন
বাড়াতে চাইলে খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত পানি পানও জরুরি।
ঘরোয়া প্রোটিন শেক বানানোর সহজ রেসিপি
দ্রুত ও স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বাড়াতে চাইলে ঘরোয়া প্রোটিন শেক একটি চমৎকার
বিকল্প। এই ধরনের প্রোটিন শেক তৈরি করা যায় সহজে পাওয়া যায় এমন
উপকরণ দিয়ে, যা শরীরের পেশী বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বিশেষ করে যারা দিনে
পরিমাণমতো খেতে পারেন না, তাদের জন্য ঘরোয়া প্রোটিন শেক একটি কার্যকরী
সাপ্লিমেন্ট হিসেবে কাজ করে। এতে থাকে প্রোটিন, কার্ব, এবং স্বাস্থ্যকর
ফ্যাটের সুষম মিশ্রণ, যা দ্রুত ক্যালরি যোগ করতে সাহায্য করে। নারী পুরুষ উভয়ের
জন্য দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সেরা ঘরোয়া কৌশল হিসেবে প্রোটিন শেক কার্যকর
প্রমাণিত।চলুন এখন জেনে নেই ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে কিভাবে প্রোটিন শেক তৈরি করা
যায়।
ঘরোয়া চকলেট প্রোটিন শেক রেসিপি
উপকরণঃ
কলা- ১ টি
কোকো পাউডার- ১ চা চামচ
দুধ- ১ কাপ
চিনা বাদাম বাটার- ১ চা চামচ
মধু- ১ চা চামচ
ওটস- ১ টেবিল চামচ
প্রস্তুত প্রণালীঃ
সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারি দিয়ে মসৃণ ভাবে ব্লেন্ড করুন। গ্লাসে ঢেলে ঠান্ডা
করে পরিবেশন করুন। এই প্রোটিন শেকটি ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরে এনার্জি যোগায়
ও দীর্ঘক্ষণ ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আম ও নারকেল দুধের প্রোটিন শেক রেসিপি
উপকরণঃ
পাকা আম-১/২ কাপ টুকরো করা
নারকেল দুধ- ১ কাপ
দারুচিনি গুড়া- ১ চিমটি
চিয়া সিড- ১ চা চামচ
ওটস- ১ টেবিল চামচ
মধু- ১ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালীঃ সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন যতক্ষণ না
এটি কৃমি হয়। এই শেকটি হজমে সহায়তা করে এবং গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা
রাখতে সাহায্য করে। নারকেল দুধে ক্যালোরি ও ফ্যাট বেশি থাকায় এটি ওজন বাড়াতে
খুবই কার্যকর। দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই এই শেকটি
কার্যকর।
প্রথমে ডিমের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নিন। তারপর সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে
দিন। ভালোভাবে ব্লেন্ড করে ক্লাসে ঢেলে পান কর... সকালে নাস্তার পর বা বিকেলে এই
শেক খাওয়া যেতে পারে। এতে উচ্চমানের প্রোটিন স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট
একসঙ্গে পাওয়া যায়, যা দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।এই শেকটি তৈরি করতে
বিশেষ কিছু বাজার থেকে আনতে হয় না ঘরে যা থাকে তা দিয়েই বানানো যায়।
অল্প সময়ের মধ্যে কোন ঝামেলা ছাড়াই এই স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি
রেসিপিটি বানিয়ে নেওয়া যায়। নিয়মিত পান করুন ভালো ফলাফল পাবেন।
বাস্তব অভিজ্ঞতাঃ ৩০ দিনে ৫ কেজি ওজন বাড়ানোর গল্প
আমি রাফি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। সব সময় আমার গায়ের ওজন
ছিল অস্বাভাবিক কম-আমার ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতায় ওজন ছিল মাত্র 50 কেজি। পাতলা
গরনের জন্য বন্ধুমহলে অনেক সময় হাসা-কা হাসি সহ্য করতে হতো পাতলা গড়নের জন্য
বন্ধু মহলে অনেক সময় হাসাহাসি সহ্য করতে হতো। একসময় আত্মবিশ্বাস হারিয়ে
ফেলেছিলাম, এমনকি ভালোভাবে পোশাক পরলেও নিজেকে অসুন্দর মনে হতো। তখনই ঠিক করি, আর
নয়- ঘরোয়া উপায়ে ওজন বাড়াতে হবে তবে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে।
প্রথমে অনলাইনে ঘাটাঘাটি করে একটা সাত দিনের ঘরোয়া রুটিন তৈরি করলাম। প্রতিদিন
নিয়ম করে কলা -দুধের প্রোটিন শেক, সকালের নাস্তায় ওটস আর ডিম, দুপুরে ভাতের
সাথে ডাল, ডিম, মাংস আর বিকেলের বাদাম শেক খেতাম। রাতে রুটি বা খিচুড়ির সাথে ডিম
ভাজা রাখতাম। প্রথম ১০ দিনে বলতে পারলাম শরীর ভারী লাগছে, ক্ষুধা বাড়ছে। পুরো ৩০
দিনের শেষে ওজন দাঁড়ায় ৫৫ কেজি!, আত্মবিশ্বাস ফিরেছে, চেহারায় ও পরিপূর্ণতা
এসেছে। সবচেয়ে ভালো লাগছে সবকিছুই করেছি শুধুই ঘরে থাকা জিনিস দিয়ে বাইরের কোন
সাপ্লিমেন্ট ছাড়াই। তাই সকলেই ধৈর্য ধরে নিয়মমাফিক জীবন পরিচালনা
করুন আপনার জীবনে বদলে যাবে।
কোন ভুল গুলো এড়িয়ে চলা উচিত
নারী পুরুষ উভয়ের দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সেরা ঘরোয়া কৌশল অনুসরণ করতে গিয়ে অনেকেই
কিছু সাধারণ ভুল করে ফেলেন, যা তাদের অগ্রগতি ব্যাহত করে। যেমন একেবারে বেশি
খাওয়ার চেষ্টা করা, প্রোটিন পারবে হঠাৎ ভারসাম্যহীনতা তৈরি করা বা সঠিক সময়ে না
খাওয়া এসব ভুল শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমাতেও পারে। এর ফলে শুধু ওজন বাড়েনা
নিয়মিত খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান এবং ঘুম নিশ্চিত না করলে ওজন
বাড়ানোর ঘরোয়া পদ্ধতি ঠিকভাবে কাজ করে না।
অনেকে মনে করেন শুধুই ঘরোয়া খাবার খেলেন দ্রুত ফল পাবেন, অথচ পরিকল্পনাহীন
খাওয়া ও অনিয়মিত রুটিন বরং ফলাফল কে ধির করে দেয়। এছাড়া যারা খাবার
গ্রহণের পর পরই শুয়ে পড়েন বা একেবারে শরীর চর্চা করেন না, তাদের ওজন বাড়লেও
সেটা স্বাস্থ্যকর হয় না। তাই, নারী পুরুষ উভয়ের দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সেরা ঘরোয়া
কৌশল কার্যকর করতে হলে অবশ্যই এইসব ভুল এড়িয়ে চলার জরুরী সুস্থ ভাবে ওজন
বাড়াতে হলে সঠিক খাদ্যাভাস, রুটিন এবং সচেতনতা এই তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে
হবে।
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়-সবার জন্য নয়? সতর্কবার্তা
ওজন প্রীতি সম্পর্কিত যে কোন প্রক্রিয়া সবার জন্য উপযুক্ত নয়। যারা স্বাস্থ্যগত
সমস্যায় ভুগছেন, যেমন ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা বা অন্য কোন শারীরিক
জটিলতা রয়েছে, তাদের জন্য এই দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় ক্ষতিকর হতে পারে।
প্রতিদিন অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ এবং সঠিক খাদ্যাভাসের অভাব শরীরের
বিপাকক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যার ফলে শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
তাই নিজের শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সবচেয়ে বুদ্ধিমানের
কাজ।
অতএব যারা দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে চান, তাদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে
তারা কোন শারীরিক পরিবর্তন বা খাদ্য বা শুরু করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের ফলে শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে যা
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সবার জন্য ওজন বৃদ্ধির উপায় এক নয়, তাই
স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন থেকে পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরী। শুধুমাত্র মোটা শরীর
মানে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী নয়, এটা হতে পারে অসচেতনতার ফল। তাই সচেতন হন, সঠিক
জীবন যাপন করো।
ওজন বৃদ্ধির জন্য কি কি ভিটামিন ও মিনারেল দরকার
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিন ও মিনারেল দেহে ভারসাম্য বজায়
রাখতে সাহায্য করে। যেমন-ভিটামিন বি কমপ্লেক্স(বিশেষ করে বি১, বি২, বি৬ ও
বি৬) হজম শক্তি বাড়িয়ে ক্ষুধা উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া জিংক শরীরে
অ্যাপাটা এবং প্রোটিন শোষণে সহায়ক হয়, যা দ্রুত ওজন বৃদ্ধির সেরা ঘরোয়া কৌশল
হিসেবে বিবেচিত। আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম বেশি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে।
অনেকেই শুধু ক্যালোরি বা প্রোটিন বাড়ালেই ওজন বাড়বে মনে করেন, কিন্তু শরীরের
পুষ্টিগত ঘাটতি পূরণ না হলে কাঙ্খিত ফল মেলে না। তাই সুষম খাদ্যের সঙ্গে সঙ্গে এ
ভিটামিন ও মিনারেল গুলো নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি স্বাস্থ্যকর
ভাবে ওজন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় হিসেবে কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। আপনি চাইলে
প্রাকৃতিক উৎস, দুধ, ডিম, বাদাম, কলা ও শাকসবজি থেকেও এসব উপাদান গ্রহণ করতে
পারেন। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কোন ভিটামিন বা মিনারেলের ঘাটতি আছে কিনা
তা জেনে নিন।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, ওজন বৃদ্ধির জন্য সঠিক ভিটামিন ও মিনারেল
গ্রহণের পাশাপাশি পর্যাপ্ত জল পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি শরীরের বিপাক
ক্রিয়া ঠিক রাখে এবং পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে। সঠিক পরিমাণে পানি পান করলে
শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করে। এছাড়াও কাঁচা ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার
মাধ্যমে শরীরের প্রাকৃতিক ভিটামিন ও মিনারেল সরবরাহ করা যায়, যা শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ওজন বৃদ্ধির উপায় বাস্তব জীবনে কতটা কার্যকর
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় বাস্তব জীবনের কার্যকর হতে পারে, তবে এটি পুরোপুরি
ব্যক্তির শরীর, খাদ্যাভাস এবং জীবনধারার উপর নির্ভর করে। কেউ কেউ সহজে ওজন
বাড়াতে সক্ষম হন, কারণ তাদের হজম শক্তি ভালো, ঘুম পর্যাপ্ত এবং খাদ্যে
ক্যালোরি ও প্রোটিনের পরিমাণ সঠিক থাকে। এসব ঘরোয়া কৌশল যেমন-প্রোটিন শেক,
নিয়মিত খাওয়া, হালকা ব্যায়াম ইত্যাদি অনেকের ক্ষেত্রেই ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে ফল
দিতে শুরু করে। রুটিন অনুযায়ী চললে ভালো ফল পাওয়া যায়।
তবে একই পদ্ধতি সব শরীরের জন্য সমান ভাবে কাজ নাও করতে পারে। অনেকেই একই রুটিন
অনুসরণ করেও কাঙ্খিত ওজন পান না, কারণ শরীরের বিপাকক্রিয়া,
হরমোনাল ইমব্যালেন্স বা অন্যান্য স্বাস্থ্যগত কারণ বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
তাই বাস্তব জীবনের দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় কার্যকর হলেও এটি একটি ধারাবাহিকতা
এবং ধৈর্যের প্রক্রিয়া এতে কিছুটা সময় ও মনোযোগ দিতে হয়। ফলে, দ্রুত ওজন
বাড়াতে গেলে ধৈর্য ধরে ব্যক্তিগতভাবে উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করাটাই সবচেয়ে
কার্যকর।
শেষ কথাঃ দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় হল ধৈর্য ধরে শরীরকে সময় দেওয়া এবং সঠিক রুটিন অনুসরণ
করা। আমি যখন শুরু করেছিলাম, প্রথম কয়েক সপ্তাহে ফল না পেলেও রুটিন না ভেঙে
চালিয়ে গেছি। ঘরোয়া ও স্বাস্থ্যকর খাবার ঘুম ও হালকা ব্যায়াম মেনে চললে ধীরে
ধীরে ওজন বাড়তে শুরু করে, তাই শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে বুঝে ধাপে ধাপে
এগিয়ে যাওয়াই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। অতএব, সময় নিয়ে এবং ধৈর্য ধরে এই
প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যেতে হবে।
শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ক্যালোরি ও পুষ্টি নিশ্চিত করাটা বেশি জরুরী, অন্ধভাবে
খাওয়া নয়। আমি নিজেও ভুল করে অতিরিক্ত ফসপক্ষে পেটের গন্ডগোলে ঢুকেছি, তাই আপনি
সচেতন থাকেন। ও নিরাপদ। সবশেষে বলবো-, নিজের শরীরকে ভালবাসুন, যত্ন নিন,তবে কাঙ্খিত পরিবর্তন নিজেই দেখে ফেলবেন। স্বার্থপর জীবন যাপন ও খাদ্যাভাস
অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কখনোই শরীরকে অতিরিক্ত চাপের মধ্যে ফেলবেন
না, স্বাভাবিক গতিতে করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url